কথায় বলে ভারতবর্ষ সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র। কিন্তু, এখানে সমগ্র জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেকে কি সমান অধিকার পায়? নাকি অতীতেও পেয়েছে? এই নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা, রাজনীতির চাপান-উতোর লেগেই আছে। এই সবকিছু কেই ছাপিয়ে গেছে জাতি বৈষম্যের শিকার হওয়া মানুষ গুলোর বঞ্চনার কাহিনী । কিছু সমাজকর্মী এই বৈষম্যের শিকার হওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু, তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। অতীত থেকে বর্তমান আজ ও চিত্রটা একই রকম। পানিহাটি নাট্য সংস্থা প্রচেষ্টার উদ্যোগে তৈরি বিদুর নাটকটি এই রকমই একটি গল্প শোনাবে আপনাদের। মহাভারতের বিদুর এর কথা আমরা সবাই জানি।বিদুর সুতপুত্র হওয়ার জন্য তাকে কোনদিন কেউ মান্যতা দেয়নি কথা না মানার জন্যই কিন্তু কৌরবদের ধ্বংস হতে হয়েছিল।সেই রকমই 2015 সালে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ছাত্র ও রোহিত ভেমুলা তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লির এক ইউনিভার্সিটি তে যান বিজ্ঞানে গবেষণা করার স্বপ্ন নিয়েে। কিন্তু, সেই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা ও শিক্ষক , কর্মীবৃন্দ প্রত্যেকেই তাঁকে দলিত সম্প্রদায় বলে অবহেলিত করে এবং শুধু তিনি নয় তাঁর সাথে আরও বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী এই অবহেলার শিকার হয় । এই ঘটনা প্রত্যেক ভারতবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এদেশে মহাভারতের মত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। প্রতিবাদ , আন্দোলন সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েও রোহিতের একটা সিদ্ধান্ত সবাইকে রীতিমতন নাড়িয়ে দিয়েছিল।রোহিত তাঁর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সুইসাইড করার আগে তিনি একটি চিঠি লিখে জান যা সমগ্র দেশবাসীর কাছে একটি জীবন্ত দলিল। রোহিতের এই প্রতিবাদের সুবিচার আজও অধরা। এই দৃশ্যই তুলে ধরেছেন নাট্যকার সুদীপ চ্যাটার্জী ।পাশাপাশি তিনি এই প্রজন্মকে নাটককে ভালোবেসে অভিনয় করতে কারণ মঞ্চই হলো প্রধান শিক্ষাক্ষেত্র ।